চিকিৎসা ক্ষেত্রে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহারের ফলে কম্পিউটারের দ্বারা রোগ নির্ণয় ও ওষুধের মান নিয়ন্ত্রণের কাজ করা হয়। ফলে ভুল হবার সম্ভাবনা কম থাকে। রোগ নির্ণয়ের জন্য বিভিন্ন ধরনের সফটওয়্যার পাওয়া যায়। রোগীর সব লক্ষণ ও রক্ত, মূত্র ইত্যাদি পরীক্ষার ফল কম্পিউটারে ইনপুট দিলে কম্পিউটার উভয়ের তুলনা করে সম্ভাব্য রোগ বলে দেয়। এছাড়া কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত স্ক্যান্যার মস্তিষ্ক ও শরীরের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ইউনিট সূক্ষ্মভাবে বিচার করে কোথাও কোনো অস্বাভাবিকতা আছে কিনা বা থাকলে কী ধরনের অস্বাভাবিকতা আছে তা বলে দিতে পারে। চিকিৎসা ছাড়াও হাসপাতাল ও ক্লিনিকের প্রশাসনিক দক্ষতা নিশ্চিত করার জন্য কম্পিউটার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বর্তমানে ক্যান্সার রোগের চিকিৎসা ও টিউমারের গঠন প্রকৃতি সম্পর্কে কম্পিউটারের সাহায্যে গবেষণা কাজ করা হয়। এছাড়া চোখের ক্ষমতা নির্ণয়, এক্স-রে ইত্যাদি অনেক পরীক্ষায় কম্পিউটর নিয়ন্ত্রিত যন্ত্রের সাহায্যে করা হয়। সম্প্রতি ভিডিও কনফারেন্সিং, ইন্টারনেট ইত্যাদি প্রযুক্তির সাহায্যে বহু দূরবর্তী স্থান থেকেও চিকিৎসা সুযোগ প্রদান ও গ্রহণ করা শুরু হয়েছে।
আরো পড়ুনঃ-
১। আণবিক পর্যায়ে গবেষণার প্রযুক্তিটি ব্যাখ্যা কর।
২। ‘শীতলীকরণ প্রক্রিয়ায় চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব’– ব্যাখ্যা কর।
৩। বিশ্বগ্রাম বা গ্লোবাল ভিলেজ বলতে কি বুঝায়?
৪। ব্যক্তি শনাক্তকরণের প্রযুক্তিটি ব্যাখ্যা কর।
৫। তথ্যপ্রযুক্তির কল্যাণে ডায়াবেটিস রোগীগণ উপকৃত হচ্ছে–ব্যাখ্যা করো।
৬। ঘরে বসে অর্থ উপার্জন করা যায় ব্যাখ্যা কর।
৭। “তথ্য প্রযুক্তি নির্ভর বিশ্বই বিশ্বগ্রাম”– ব্যাখ্যা করো।
৮। ওয়্যারলেস কমিউনিকেশন ব্যাখ্যা কর।
৯। “তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহারের ফলে একজন কর্মী অনেক বেশি দক্ষ হয়ে ওঠে” – কথাটি বুঝিয়ে লেখ।
১০। উপাত্ত ও তথ্য কাকে বলে? তথ্য, উপাত্ত ও জ্ঞানের মধ্যে সম্পর্ক কি?